বন্দি মায়ার কারাগারে ভালোবাসা বেঁচে থাকুক হৃদয় আঙ্গিণায়
জীবনে যা পেয়েছি তার চেয়েও বেশি হারিয়েছি। না পাওয়া বেদনায় অনেক কেঁদেছি। জ্বলে পুড়ে নিজেকে শেষ করে দিয়েছি। হারিয়ে ফেলছি সামনে আগানোর মূলমন্ত্র। ভুলে গেছি আসল গন্তব্য। চলছি এখন ভূল পথে। কিন্তু কেন?
একটু ভালোইতো থাকতে ছেয়েছিলাম তাকে বুকে গভীরে আগলে রেখে। রেখেছিও। হঠাৎ ঝড় এসে এক মুহুর্তের মধ্যেই সব লণ্ড ভন্ড করে দিয়েছে সাজানো মনকে। ধংস করে দিয়েছে তিলে তিলে গড়ে উঠা আমার যত স্বপ্ন। কথা আছে, ‘আল্লাহ যা করেন তা বান্দার ভালোর জন্যই করেন’। আমি ধৈর্য্য ধরে বসে আছি এই তত্বের উপরে। কারণ আমি শুনেছি, ‘শুনেছি সবার কপালে নাকি সুখ সয় না’। এটা সত্যি। আমার জীবনে এটা আরো বেশি সত্য। আমি একজন হতভাগা।
আমি ভুলে যেতে চাই সব। কিন্তু আমি চাইলেও তা পারছি না। কারণ কিছু মানুষকে ভুলে যাওয়া পৃথিবীতে অসম্ভব।শত ব্যস্ততার মাঝেও প্রিয় মানুষের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো হৃদয়ের গভীরে যখন কম্পন সৃষ্টি করে তখন সেই মানুষগুলোকে ভোলা নয় তারা আবার নতুন করে জায়গা করে নেয় হৃদয় গভীরে। আর কলিজাটাকে ধুকড়ে ধুকেড়ে ব্যথা দিতে থাকে সব সময়।
ধনী-গরীর ,সুন্দর-কালো ,জাত- অজাত,ধর্ম-বর্ণ এবং ভালো-খারাপ কোনো কিছু ভালোবাসার ক্ষেত্রে বিবেচ্য নয়।যদি হতো তাহলে শাহজাহান আর মমতাজের প্রেম কখনো চির অক্ষয় হতো না।রচিত হতো না লায়লি মজনুর প্রেম কাহিনী।এটাই হয়তো প্রকৃতির নিয়ম। প্রকৃতির নিয়মে ভালোলাগার গভীরতাই ভালোবাসার বহি:প্রকাশ। আর আমাদের ভালোবাসার বহি:প্রকাশ হলো এই অভিজাত সমাজের বাহ্যিক রুপ। তাইতো আমরা দূরে সরে যাচ্ছি। অনেক অনেক দূরে চলে যাচ্ছি। কিন্তু এই দূরে চলে যাওয়াটা হলো তোমাকে ভুলে যাওয়া নয়, সবার সুখের কথা চিন্তা করে নিজের ভালোবাসাকে গলা টিপে হত্যা করাই।
মনে রেখ, আমি ও রক্তে মাংসের গড়া একজন মানুষ। আমারো কষ্ট হয়। আমারো খারাপ লাগে। আমি ছেলে বলে সবার সামনে কাঁদতে পারি না। আমার কান্নাটা আমার ভেতরে আমাকে বর্ষণ করে প্রতিনিয়ত। রাতের অন্ধকারের সাথে আমার কান্না মিলিয়ে যায়। এলকোহল আর নিকোটিনের ধোঁয়ার সাথে কষ্টগুলো উড়ে যায়।আমি শেষ হয়ে যাবো।আমি শেষ হয়ে যাচ্ছি।কিন্তু আমার ভালোবাসা? না আমার ভালোবাসা শেষ হতে পারে না? সত্যি পারে না। ভালোবাসা ভালো থাকুক অক্ষয় এই মনের পৃথিবীতে। ভালোবাসায় ভালো থাকুক প্রিয় মুখগুলো, মানুষগুলো। আমি বাঁচি তোমার কথায়,‘ মানুষ বাঁচে আসায়- প্রেমিক বাঁচে প্রেমিকার ভালোবাসায়’।